কে বলে ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা?
একজন ফ্রিলান্সার দৈনিক কি কি করে?
1) ঘড়িতে ভোর 4টার উপরে বাজে। এখনও অনেক মানুষ মাঘের 5 তারিখ ভুলে গিয়ে পিসিতে আটকে আছে। 2) আপনি চাইলেই ক্লায়েন্টের কাজ বাদ দিয়ে আরামে ঘুরতে পারবেন না। 3) খাবার সামনে থাকলেও অনেক সময় খেতে পারবেন না। 4) মানুষের কথা শুনার সময়েও আপনার মাথায় ক্লায়েন্টের কাজের সমস্যা ঘুরতে থাকবে। 5) নেটওয়ার্কের কাছে আপনি অসহায়। 6) এখানেও হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে জব এপ্লাই করতে হয়। 7) মাথার জোর, পরিশ্রম বাদে সার্টিফিকেটের জোর খাটে না।
আরও আছে, থাকতে পারে। তার মানে অন্যান্য পেশার মতো সেইম। অন্য পেশায়ও যেমন দায়িত্ব, কাজের চাপ এখানেও। একেক জায়গায় একেক রকম-এই যা। মুক্ত পেশা বোঝাতে গিয়ে যারা বলে বাসা থেকে কাজ করা যায়, তাদের কাছে অফিস, বাসা আর ওয়ার্ক স্টেশনের মধ্যে তেমন পার্থক্য নাই। বড় জোর আপনি ড্রেসকোড ছাড়া কাজ করতে পারবেন আপনার ওয়ার্ক স্টেশনে-ক্লায়েন্ট ভিডিও কনফারেন্সিং-এ না ডাকলে। চাকরি যেটাই করেন হোক সরকারি, বেসরকারি-দায়িত্ব থাকবে। ব্যবসায় হলেও কাজ থাকবে প্রচুর। ফ্রিল্যান্সিং একই সাথে চাকরি ও ব্যবসায়ের ডুয়াল রোল প্লে করে। যখন আপনি দেশি/বিদেশী কোম্পানী/ব্যক্তির অধীনে থেকে তার ব্যবসায় বা সেবার জন্য কাজ করছেন তখন সেটা চাকরি (হতে পারে পার্ট টাইম/ফুল টাইম/স্বল্পস্থায়ী/দীর্ঘস্থায়ী) আর একই সাথে যেহেতু আপনার দক্ষতার সার্ভিস বিক্রী করছেন তাই এটা আপনার বিজনেস। ফ্রিল্যান্সিং-এ আসার আগে বা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করার আগে এগুলো ভাবা উচিৎ। আমার কথায় যারা ডিমোটিভেটেড হবেন, ধরে নিতে হবে তাদের হালকা কিছু শিখে দ্রুত বেশি পরিমাণ আয় করার ইচ্ছা ছিল। মূলত: এখানে বসে বাইরের দেশের একটা বিজনেসকে আপনি পরিচালনা করবেন বা ক্লায়েন্টের ব্যবসায়ে লাভজনক ভূমিকা রাখবেন-ব্যাপারটা মোটেও "খুব সোজা" টাইপের না। কিন্তু দক্ষতা এমন একটা জিনিস যা দিয়ে আপনি নিজেকে অর্থনৈতিক দৈন্যতা, চাকরিতে বাঁধা আর বেকারত্বের হতাশা থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
Leave your Comment